কারফিউর প্রথম দিন বিকেলে ঢাকা শহরের ভেতরে চিত্র ছিল একেবারেই শান্ত, তবে থমথমে।
সংবাদদাতারা বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঢাকা শহরের অনেক এলাকা ঘুরে দেখেছেন। এ সময় সংবাদাদাতার গুলশান, তেজগাঁও, কারওয়ানবাজার, মগবাজার, মালিবাগ, খিলগাঁও, কমলাপুর এলাকায় গিয়েছিলেন। এসব জায়গায় রাস্তায় কোথাও পুলিশ কিংবা সেনাবাহিনীর টহল দেখা যায়নি।
সায়েদাবাদের পাশে মানিকনগর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। এ সময় পুলিশকে টিয়ারশেল ছুঁড়তে দেখা গেছে। পাশাপাশি সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দে প্রকম্পিত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মানিকনগর, যাত্রাবাড়ি, রায়েরবাগ এলাকার বিভিন্ন স্থানে এই সংঘাত চলেছে সকাল থেকে।
মানিকনগর থেকে মুগদা, খিলগাঁও মালিবাগ, মগবাজার, ফার্মগেট হয়ে বিজয় সরণিতে আসেন। সেখানে সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট অতিক্রম করতে হয়। এ সময় দেখা যায়, বিজয় সরণি চার রাস্তার মোড় থেকে গণভবণের দিকে রাস্তা বন্ধ রেখেছে সেনা সদস্যরা। এছাড়া ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট অভিমুখে রাস্তাটিও বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিজয় সরণিতে যেসব গাড়ির যাত্রীরা সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট পার হচ্ছিল তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সেনা সদস্যরা। কারো কারো গাড়িও তল্লাশি করা হয়েছে।
গাড়ি ঘুরিয়ে বিজয় সরনি ফ্লাইওভার দিয়ে তেজগাঁও হয়ে মহাখালি পৌঁছান বিবিসি সংবাদদাতারা।
সেখানে সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট চোখে পড়ে। সেখানে পরিচয় দিয়ে চেকপোস্ট পার হতে হয়েছে। এরপর কাকলী, বনানী, আর্মি স্টেডিয়াম, বিমানবন্দর হয়ে টঙ্গি পর্যন্ত যান সংবাদদাতারা। যাওয়ার পথে উত্তরা এলাকার আজমপুরে আরেকটি সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকি পার হতে হয়।
তারা যেখানে তল্লাশি চৌকি স্থাপন করেছেন ঠিক তার কয়েকশ গজের মধ্যে একটি তেলের ট্যাংকার এবং একটি বাস দগ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। এছাড়া রাস্তার পাশে বিভিন্ন ভবনের কাঁচ ভাঙচুর অবস্থায় ছিল। রাস্তায় ছিল ছাড়ানো ছিটানো শতশত ইটের টুকরো। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এসব ছিল শুক্রবারের সহিংসতার ক্ষত।
আজমপুর পার হয়ে বিআরটি ফ্লাইভার হয়ে টঙ্গি পৌঁছান সংবাদদাতারা। ফ্লাইওভারে ছিল বৃহস্পতিবারের সহিংসতার স্পষ্ট চিত্র। সেখানে দেখা গেল, বিআরটি প্রকল্পের জন্য আনা বহু এসকেলেটর (চলন্ত সিঁড়ি) আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল। বিআরটি প্রকল্পের স্থাপনের জন্য এসব এসকেলেটর সেখানে এনে রাখা হয়েছিল।
কিছু নিম্ন আয়ের মানুষকে এসব এসকেলটর থেকে স্টিলের পাত ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি খুলে নিতে দেখা গেল।
মানিকনগর থেকে যাত্রাবাড়ি – এই দীর্ঘ রাস্তা ঘুরে কোথাও সেনা সদস্যদের টহল চোখে পড়েনি। যেটি দেখা গেল তারা বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চৌকি স্থাপন করেছেন। রাস্তায় নির্বিঘ্নে রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে, যদিও যাত্রী ছিল না। এছাড়া শহরের বিভিন্ন অলিগলির মুখে জটলা হয়ে মানুষজনকে বসে থাকতে দেখা গেছে।
১০ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
১৫ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
১৬ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
১ দিন ১১ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
১ দিন ১১ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
১ দিন ১১ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে