তাণ্ডবে পাইরেসির হানা ট্রাক মালিককে হয়রানির অভিযোগে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে মোংলায় বাস যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থেকে মুল্যবান কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ ০২ জন গ্রেপ্তার নড়িয়ায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা না পেয়ে গাছে বেঁধে ব্যবসায়ীকে নির্যাতন জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত-১, শিশুসহ আহত ৫ নোয়াখালীতে এসিড নিক্ষেপের ভয় দেখায় জোরপূর্বক দর্শন গ্রেপ্তার ১ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমাঝোতা একটি ইতিবাচক দিক : আতিকুর রহমান জামায়াতের ১নং ওয়ার্ড কর্তৃক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যমেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রায়গঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহার হোসেন কান্টু গ্রেপ্তার শ্রীপুরে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাটে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ লালপুরে জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

শিশুদের ভয় দেখানো অনুচিত

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 17-11-2022 11:59:58 pm

মাওলানা মুহাম্মদ মিশকাত 


শিশুদের মানসিক বিকাশে ক্ষতি হয় এমনভাবে ভয় দেখানো এবং তা করতে গিয়ে মিথ্যা বলা ইসলামের দৃষ্টিতে নাজায়েজ কাজ। শুধু শিশুদের নয়, বড়দেরও ভয় দেখানো জায়েজ নয়। মজার ছলে এমনটি করাও ইসলামে নিষিদ্ধ। মহানবী (সা.)-এর যুগে একবার এক ব্যক্তি অন্য ব্যক্তিকে তলোয়ার নিয়ে ভয় দেখাচ্ছিলেন। বিষয়টি নবী (সা.)-এর দৃষ্টিগোচর হলে তাঁকে নিষেধ করেন। 


অবশ্য শিশুদের শাসন করার জন্য তাদের ক্ষতি না হয় এমন করে ভয় দেখিয়ে সতর্ক ও সাবধান করলে তা নাজায়েজ হবে না। তবে শর্ত হলো, কোনোভাবেই মিথ্যা বলা যাবে না। কারণ মিথ্যা সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট। বড়দের সঙ্গে মিথ্যা বলা যেমন নাজায়েজ, একইভাবে ছোটদের সঙ্গে মিথ্যা বলাও নাজায়েজ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাক।’ 


(সুরা হজ: ৩০) 

শিশুদের সঙ্গে মিথ্যা কথা বলা প্রসঙ্গে মুসনাদে আহমদে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, যদি কোনো শিশুকে কোনো কিছু দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ডাকা হয় এবং ওই বস্তু তাকে দেওয়া না হয়, তবে তা মিথ্যা বলে পরিগণিত হবে। এ ধরনের কোনো কথা বলে তা রক্ষা না করা, কিংবা কোনো বস্তুর মিথ্যা ভয় দেখানো, সতর্ক বা সাবধান করার উদ্দেশ্যে—যেমন এখন বাঘ আসবে, কিন্তু বাস্তবে বাঘ আসবে না, তাহলে তা গুনাহের কাজ হিসেবে গণ্য হবে।


আজকাল অনেক অভিভাবকই এমন ভুল করে বসেন। শিশুরা যা কিছু শুনে শুনে শেখে, তার চেয়ে বেশি শেখে দেখে দেখে। যখন তারা দেখবে, মা-বাবা যে কথাটি বলছেন, তা সত্য নয়; তখন তারা মিথ্যা বলার প্রশিক্ষণ হাতে-কলমে পেয়ে যাবে। মিথ্যা বলার স্বভাব তার চরিত্রে প্রোথিত হবে। তাই তাদের সঙ্গে মিথ্যা কথা বলা একেবারেই অনুচিত।


লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

আরও খবর