ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমাঝোতা একটি ইতিবাচক দিক : আতিকুর রহমান জামায়াতের ১নং ওয়ার্ড কর্তৃক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যমেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রায়গঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহার হোসেন কান্টু গ্রেপ্তার শ্রীপুরে দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর, অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ও দোকানপাটে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ লালপুরে জামায়াতের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত লালপুরে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে জনতার ঢল! ঈশ্বরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ জন নিহত সাবেক সংরক্ষিত এমপি’র বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযান: ইয়াবা-অস্ত্রসহ পুত্র আটক সুন্দরগঞ্জে জামায়াত কর্মী হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা আজম কারাগারে কালাইয়ে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় চিকন আলী নামে এক আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য গ্রেপ্তার পাঁচ ব্যাংক মিলে হচ্ছে এক ব্যাংক, চাকরি হারাবেন না কর্মীরা নেতানিয়াহুর জন্য বিশ্ব আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে’ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে অবরুদ্ধের প্রতিবাদে পীরগাছায় মশাল মিছিল সড়ক দুর্ঘটনায় লালপুরের যুবকের মৃত্যু

বাংলাদেশি এ পাইলট সবচেয়ে বেশি ইসরায়েলের বিমান ধ্বংস করেছিলেন

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 22-04-2024 02:31:28 am

স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনের হয়ে ইসরায়েলের সবচেয়ে বেশি জঙ্গি বিমান ধ্বংসের রেকর্ড কার তা জানলে আপনাকে অবাকই হতে হবে। তিনি একজন বাংলাদেশি আকাশযোদ্ধা। 


এই দুর্ধর্ষ বিমানযোদ্ধাকে আজও মনে রেখেছে ফিলিস্তিনিরা। স্মরণ করে শ্রদ্ধার সাথে। ইসরায়েলের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক যুদ্ধ বিমানকে ভূপাতিত করার রেকর্ডটাও ৪৮ বছর যাবৎ তাঁর দখলে! জীবিত অবস্থায় তিনি বিশ্বের বিমানযোদ্ধাদের কাছে ‘লিভিং ঈগল’ নামে খ্যাত ছিলেন। আকাশে শিকারি ঈগলের মতোই উড়তেন যুদ্ধবিমান নিয়ে।


অর্জন কিংবা অভিজ্ঞতা সবদিকেই সাইফুল আজমের ঝুলি বেশ ভারী। চারটি আলাদা দেশের বিমান বাহিনীকে সার্ভিস দিয়েছেন এই বীর বাংলাদেশি। এমনকি তিনটি ভিন্ন দেশের হয়ে শত্রুপক্ষের বিমান করেছেন ধ্বংস। এসব অসামান্য কীর্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র বিমানবাহিনী তাঁকে বিশ্বের ২২ জন লিভিং ঈগলের (জীবন্ত ঈগল) একজন হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং তিনি বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র ‘লিভিং ঈগল’ উপাধি পাওয়া বৈমানিক।


তিনি দুনিয়ার একমাত্র আকাশ যোদ্ধা যিনি একাই ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর খেল আকাশেই খতম করেছিলেন। খোদ শত্রুপক্ষ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কাছে পরম আশ্চর্য এই ব্যক্তি সাইফুল আজম। জীবদ্দশায় তাঁকে ‘লিভিং ঈগল’ সম্মান দিতে কোনো কুণ্ঠা দেখায়নি মার্কিন মুলুক। 


১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশি বৈমানিক সাইফুল আজম। তৎকালীন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর এই সদস্য যোগ দিয়েছিলেন ইরাকি বাহিনীর হয়ে। মাত্র ছয়দিন স্থায়ী হয়েছিল সেই যুদ্ধ। তবে অসম সাহস আর অনন্য রণনৈপুণ্যের জন্য সাইফুল আজম ঠিকই ফিলিস্তিনিদের মনে গেড়ে নিয়েছেন স্থায়ী আসন। ৬৭ সালের সেই যুদ্ধে আরব বাহিনী ব্যর্থ হলেও সাইফুল আজম ছিলেন স্বমহিমায় উজ্জ্বল। 


১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পশ্চিম ইরাকে অবস্থান নিয়ে ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন তিনি। যুদ্ধ শুরু হওয়ার মাত্র পাঁচদিনের মাথায় গাজা এবং সিনাইয়ের কর্তৃত্ব নিয়ে নিয়েছিল ইসরায়েল। জুনের ৫ তারিখে সিরীয় বিমানবাহিনীর দুই-তৃতীয়াংশ শক্তি ধ্বংস করে দেয় ইসরায়েলি বিমান সেনারা। এ সময় ইসরায়েলিদের যমদূত হয়ে জর্ডানে যান সাইফুল আজম।


সে সময় ইসরায়েলি সুপারসনিকের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মতো সমকক্ষ বিমান আরবদের হাতে ছিল না। তবু ইসরায়েলি হামলা ঠেকাতে মাফরাক বিমান ঘাঁটি থেকে ‘হকার হান্টার’ জঙ্গি বিমান নিয়ে উড়াল দেন অসম সাহসী সাইফুল আজম। আর সেই হকার হান্টার দিয়েই ক্ষিপ্রগতির দুটি ইসরায়েলি সুপারসনিক ঘায়েল করে ফেললেন সাইফুল আজম। তার অব্যর্থ আঘাতে ভূপাতিত হয় একটি ইসরায়েলি ‘সুপার মিস্টেরে’। আরেক আঘাতে প্রায় অকেজো হয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে কোনোমতে পালিয়ে ইসরায়েলি সীমানায় গিয়ে আছড়ে পড়ে আরেকটি বিমান। 


সেদিন অকুতোভয় বৈমানিক সাইফুল আজমের অকল্পনীয় বীরত্বের কারণে ইসরায়েলের পুরো পরিকল্পনাই ভেস্তে যায়। এমন অসাধারণ বীরত্বের জন্য পুরস্কারস্বরূপ সাইফুল আজমকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করে ইরাক ও জর্ডান সরকার।


সাইফুল আজমের কাছে ইসরায়েলি বৈমানিকদের ধরাশায়ী হওয়ার ঘটনা এখানেই শেষ নয়। পরদিনই তার কৃতিত্বে ইরাকি বৈমানিক দলের কাছে চরমভাবে পরাজিত হয় ইসরায়েলিরা। ৭ জুন ইরাকের ‘এইচ-থ্রি’ ও ‘আল-ওয়ালিদ’ ঘাঁটি রক্ষা করার দায়িত্ব পড়ে এক ইরাকি বৈমানিক দলের কাঁধে। আর সেই দলের অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন সাইফুল আজম।


সেদিন চারটি ‘ভালচার বোম্বার’ ও দুটি ‘মিরেজ থ্রিসি’ জঙ্গি বিমান নিয়ে আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। একটি ‘মিরেজ থ্রিসি’ বিমানে ছিলেন ইসরায়েলি ক্যাপ্টেন গিডিওন দ্রোর। দ্রোরের গুলিতে নিহত হন আজমের উইংম্যান। তার হামলায় ভূপাতিত হয় দুটি ইরাকি বিমান। একটু পর এ ঘটনার মোক্ষম জবাব দেন আজম।

তার অব্যর্থ টার্গেটে পরিণত হয় দ্রোরের ‘মিরেজ থ্রিসি’। সে আঘাতের পর বাঁচার উপায় না পেয়ে যুদ্ধবন্দি হিসেবে ধরা দেন ক্যাপ্টেন দ্রোর। ওই যুদ্ধবন্দির বিনিময়ে জর্ডান ও ইরাকের সহস্রাধিক সৈন্যকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল।


আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রথম ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সাইফুল আজম একটি অনন্য রেকর্ড সৃষ্টি করেন। ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি একটি লড়াইয়ে ভূপাতিত করেছেন সর্বোচ্চ চারটি ইসরায়েলি বিমান। যে জন্য তাকে ‘নাত আল-সুজাহ’ সামরিক সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।


সাইফুল আজমের জন্ম ১৯৪১ সালে, পাবনা জেলার খাগড়বাড়িয়াতে। ১৯৫৮ সালে তিনি ভর্তি হন পাকিস্তান এয়ার ফোর্স ক্যাডেট কলেজে। দু’ বছর পর তিনি পাইলট অফিসার কোর্স সম্পন্ন করেন। সে বছরেই তিনি জেনারেল ডিউটি পাইলট হিসেবে কমিশনপ্রাপ্ত হয়ে যোগ দেন পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে। প্রশিক্ষক থাকাকালীন ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাইফুল আজম পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ১৭ নম্বর স্কোয়াড্রনের হয়ে যোগ দেন।

আরও খবর
68457c2d439f2-080625060357.webp
আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তায় প্লেটো, এরিস্টটল

৭ দিন ১৫ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে



deshchitro-682b1b69ea61c-190525055209.webp
কারিগরি শিক্ষায় দ্রুত আধুনিকায়ন প্রয়োজন

২৭ দিন ১৫ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে


681f5098c2db0-100525071152.webp
স্বাধীন গণমাধ্যম: সমাজের আয়না

৩৬ দিন ১৪ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে


deshchitro-6801d6dae401c-180425103642.webp
Take early steps to resolve waterlogging in Dhaka

৫৮ দিন ২৩ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে




deshchitro-67f32034a3e9c-070425064540.webp
সড়কে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক

৭০ দিন ২ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে